বগুড়া শহরের উপকন্ঠে চারমাথা বাস টার্মিনালের পিছনে ধমকপাড়া এলাকায় নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ মিললো এক শিশুর। খুন হওয়া শিশুটির নাম মাহাদী বাবু (৫)। ভিক্টিম মাহাদী ধমকপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম ও রুবি বেগম দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান। মাহাদী গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে নিখোঁজ ছিলো বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসরাইল হোসেন জানান, শিশু মাহাদী প্রতিদিনের ন্যায় সকাল বেলা খাবার খেয়ে আনুমানিক সকাল ১০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়। দুপুর ১ টায় মাহাদী বাড়িতে না ফেরার কারণে তার পরিবারের লোকজন সহ গ্রামের বাসিন্দারা শিশুটিকে খুঁজতে বের হয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খুঁজাখুঁজি করে মাহাদীর কোন সন্ধান পায়নি। দুই ভাই দুই বোনের মধ্য মাহাদী ছিল ছোট।
প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন ফকির জানান, শিশু মাহাদী তার সম্পর্কে নাতী হয়। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত্রি পর্যন্ত আমরা খোঁজাখুঁজি করে তার খোঁজ পাইনি। অভিযুক্ত তহমিনার বাড়ি এবং আমার বাড়ি পাশাপাশি। আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমি প্রতিবেশী তহমিনার বাড়ির পিছনের দরজা খোলার শব্দ পেয়ে কৌতুহলবশত আমার ঘরের জানালা খুলে তহমিনাকে রান্নাঘরের পাশে দেখতে পাই এবং তার পায়ের কাছে একটা বস্তা দেখতে পাই। তখন আমি আমার বড়ভাইকে সাথে নিয়ে তহমিনার ভাড়া বাড়িতে যাই। আমার বড়ভাই বস্তার মধ্য শিশু মাহাদীর পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে উঠলে তহমিনা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং সদর থানা পুলিশে নিকট সোপর্দ করে।
শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, মাহাদীকে সব জায়গায় খুঁজে যখন না পেয়েছি তখন আমরা গত বৃহস্পতিবার বিকালে বগুড়া সদর থানায় যেয়ে একটা জিডি করি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাহাদীর সন্ধান চেয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। পাশাপাশি আমি মাইকে প্রচার করি তবুও আমার সন্তানের কোন সন্ধান পাইনি। আজ ভোরে আমার সন্তানের বস্তাবন্দী লাশ পেলাম। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
ConversionConversion EmoticonEmoticon