কর্ণেল অব. অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা করে। আমি পাশে বসা ছিলাম। সবাইকে বললাম, যুদ্ধের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ো। এখানে কারো মায়ের কথা, বাপের কথা আসে না। আওয়ামী লীগ যে স্বপ্ন দেখে, তা তাদের দু:স্বপ্ন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাকারে এসব কথা বলেন কর্ণেল অব. অলি আহমদ (বীর বিক্রম)।
জিয়াউর রহমানকে আমি গার্ড দিয়ে পাঠাইয়া দিলাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে। এটা ছিল ট্রান্সমেশিন স্টেশন। স্বাধীনতা ভাষণে জিয়াউর রহমান বলেন,‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি জিয়াউর রহমান নিজেকে ঘোষণা করেছি। যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেমেছি। আপনারা যে যা পারেন, সামর্থ অনুযায়ী, অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তান দখলদার বাহিনীকে দেশ ছাড়া করতে হবে। ইনশাল্লাহ, বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত’।
অলি আহমদ বলেন, আমার কাছে ডকুমেন্টস আছে। জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে লিখেছেন, এই অফিসার, মানে ক্যাপ্টেন অলি আহমদ মুক্ত ভূমিকা পালন করে বিদ্রোহের জন্য। এটা সেটেলড কেইস। তারপর হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা। তৎকালীন মেজর মীর শওকত আলী-সহ আমরাই পরামর্শ দিয়েছি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য। আমরা বসা ছিলাম পটিয়া থানাতে। জিয়াউর রহমানকে বললাম, আপনিই রেডিও স্টেশনে যান। আমরা তখন অ্যারেস্ট হই। অনেকেই মনগড়া ইতিহাস লিখেছেন। তারা যুদ্ধ দেখেও না, যুদ্ধ জানেও না।
তিনি বলেন, সবাই প্রাণ নিয়ে পালিয়ে ছিল। আওয়ামী লীগের কোন নেতাই মাঠে ছিল না। সবাই লুকিয়ে ছিল। আগরতলা চলে গেল। সেখানে গিয়ে সিনেমা দেখেছে। তারা কোন যুদ্ধ করেনি। যুদ্ধ তো আমরা করেছি। অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্ট না হলে বিদ্রোহ হতো না।
অলি আহমদ বলেন, এক সময় আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। আমাদের মিশনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা যেন সুন্দর হয়। পরবর্তীতে দেখলাম দুইটি খাদ্য গুদামের খাদ্যগুলো বিক্রি করে আগরতলা চলে গেছেন। আওয়ামী লীগের কোন নেতাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। ছাত্র-জনতা, শ্রমিক অনেকেই আমাদের সঙ্গে ছিল।
ConversionConversion EmoticonEmoticon