ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন,ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৪ সদস্যের একটি দল।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের চার সদস্যের একটি টিম হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করেন। এতে করে ভর্তি রোগীদের খাদ্য, ওষুধ, সেবা নিতে আসা মানুষের কাছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, রোগ নির্ণয়ের ল্যাবসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখে তারা। এতে সব বিষয়েই অনিয়ম প্রমানিত হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, কমিশনের অনুমোদনক্রমে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন অনিয়ম অসঙ্গতি দেখা গেছে এবং প্রামানিত হয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম। যেমন রোগীদের নিম্নমানের খাবার সর্বরাহ, ওয়াশরুম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ,বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা থেকে আসা রোগীদের হাসপাতালের ল্যাবে রোগ নির্ণয়ের সেবা না দিয়ে টেকনিশিয়ানরা প্রাইভেট ক্লিনিক, ল্যাবে পাঠিয়ে উচ্চমাত্রায় অর্থ ব্যয় করা করা ইত্যাদি।
তিনি আরও জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ চৌধুরী সব দোষ স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিনি পরিচালনা করতেও ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনিন বলেন, ম্যানেজমেন্টে সমস্যা থাকার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন, “পরে সব ঠিক হয়ে যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন আরো বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে এবং সেটি যদি এখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা তদারকি করতে কোন গাফিলতি করে তবে সে দায় তার উপর বর্তায়। কয়েক জন ল্যাব টেকনিশিয়ান কে শোকজ করার কথাও বলেন দুদক।

ConversionConversion EmoticonEmoticon